রাজশাহীর তানোর উপজেলার মুন্ডুমালা মাহালীপাড়া এলাকায় “সাধুজন মেরী ভিয়ান্নী গির্জায়” তিনদিন ধরে আটকে রেখে ১৫ বছর বয়সী এক আদিবাসী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে গির্জার ফাদার প্রদীপ গ্রেগরীর বিরুদ্ধে।
গত ২৬ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টায় ওই গির্জার পাশে ঘাস কাটতে গিয়ে নিখোঁজ হন ওই কিশোরী। অনেক খোঁজাখুঁজির পরে তাকে না পেয়ে ২৭ সেপ্টেম্বর ওই কিশোরী নিখোঁজের ঘটনায় থানায় জিডি করেন তার ভাই স্বপন হাঁসদা। থানায় জিডির পর ২৮ সেপ্টেম্বর দুপুর পর জানা যায় নিখোঁজ কিশোরী গির্জার ফাদার প্রদীপের রুমে বন্দি অবস্থায় আছে।
এ নিয়ে গ্রামের মোড়ল ও মুন্ডুমালা সরকারি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক কার্মেল মার্ডির নেতৃত্বে ২৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় গির্জার ভেতরে সালিশি বৈঠক বসে। সেখানে দোষ প্রমাণিত হওয়ায় ফাদার প্রদীপকে অপসারণ করে রাজশাহীতে নিয়ে আসা হয়। আর ভুক্তভোগী ওই কিশোরীকে গির্জার ভিতরে সিস্টারদের কাছে রাখা হয়। বলা হয়, ২৯ সেপ্টেম্বর যদি ওই কিশোরীর পরিবারের সদস্যরা থানা থেকে নিখোঁজের ঘটনায় করা জিডি প্রত্যাহার করে, তবেই ওই কিশোরীকে পরিবারের কাছে ফেরত দেয়াসহ তার সাবালিকা হওয়া পর্যন্ত খরচ বহন করবে গির্জা কর্তৃপক্ষ।
এদিকে, থানা থেকে ওই কিশোরীর ভাই নিখোঁজের জিডি তুলে নিলেও ওই কিশোরীকে গির্জা থেকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি। বরং উল্টো সমাজচ্যুত করার হুমকি দিয়ে গির্জার প্রধান ফাদার প্যাট্রিক গমেজ ও সালিশি বৈঠক এর প্রধান কামেল মার্ডি ওই কিশোরীকে গির্জায় বন্দি রেখেছিল সন্ধ্যা পর্যন্ত। পরে পুলিশ গিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রাকিবুল হাসান জানান, পুলিশ কিশোরী মেয়েটিকে উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় মেয়েটির ভাই বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। আসামি প্রদীপ পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।